চট্টগ্রামে হবে দেশের সর্ববৃহৎ ইকোনমিক জোন, কর্মসংস্থান হবে অন্তত ১৫ লাখ মানুষের
খবরের সময় ডেস্ক:
পরিকল্পনা কমিশন ও বেজা সূত্র জানায়,‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর উন্নয়ন প্রকল্প’ উঠছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায়।১৯ জানুয়ারি রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভায় চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য এ প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।বেজার নির্বাহী সদস্য (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মোহাম্মদ ইরফান শরীফ বলেন, প্রকল্পটি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে স্বপ্নের। বাংলাদেশে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে নতুন দ্বার উন্মোচন হবে।সব সুযোগ সুবিধা সৃষ্টির মাধ্যমেই সবুজ শিল্পবিপ্লব ঘটাতে যাচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর উন্নয়ন প্রকল্প’।বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির লক্ষ্যে সমগ্র বাংলাদেশে প্রায় ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে।বেকারমুক্ত শিল্পনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ইকোনমিক জোনে আগামী ১৫ বছরের মধ্যে এসব জোনে অন্তত ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের পরিকল্পনা করা হয়েছে।যার মাধ্যমে দেশ পুরোপুরি বেকারমুক্ত হবে বলে মনে করে বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটি (বেজা)।
প্রকল্পের আওতায় অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ ফোরলেন নির্মাণ করা হবে। এছাড়া, পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা, নিরাপত্তাবেষ্টনী, প্রশাসনিক ভবন, শিল্পনগরের কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি) নির্মাণ করা হবে। এছাড়া প্রকল্পের আওতায় ৩১ কিলোমিটার স্ট্রম ওয়াটার নেটওয়ার্ক, সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান্ট, বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট, ওয়েস্ট সর্টিং অ্যান্ড ম্যাটারিয়াল রিকভারি, রুপটপ অ্যান্ড ফ্লোটিং সোলারের কাজ করা হবে।প্রকল্পটি ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে করিডোর ও বঙ্গোপসাগর উপকূলের নিকটবর্তী স্থানে চট্টগ্রামের মীরসরাই ও সীতাকুন্ড এবং ফেনী সোনাগাজী উপজেলায় যোগাযোগ সুবিধা থাকায় অভিবাসন বা সেটেলমেন্টর প্রয়োজন না থাকায় উক্ত এলাকায় সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।এ শিল্পনগরী ঘিরে আশপাশের এলাকাগুলোতেও গড়ে উঠছে বিভিন্ন শিল্প-কারখানা। বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরীর সঙ্গে যুক্ত হবে চট্টগ্রামে নির্মিতব্য বে-টার্মিনাল।এতে সহজ হবে পণ্য আমদানি-রপ্তানি। বিশেষ করে এই শিল্পনগরীতে উৎপাদিত পণ্য সরাসরি রপ্তানি হবে বে-টার্মিনাল দিয়ে।এখন পর্যন্ত এ শিল্পনগরীতে দেশের বিভিন্ন কোম্পানির পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগকারী হিসেবে এগিয়ে এসেছে জাপান, চীন, ভারত, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, কোরিয়া, মালয়েশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া।বেজার তথ্য অনুযায়ী, গত নভেম্বর পর্যন্ত দেশি-বিদেশি মিলিয়ে অন্তত ১৯ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে এই শিল্পনগরীর অনুকূলে, যার ১০ বিলিয়ন ডলারই বিদেশি বিনিয়োগ।প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে চার হাজার ৩৪৭ কোটি টাকা।প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক ঋণ তিন হাজার ৯৬৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।আর সরকারি অর্থায়ন ৩৭৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।